চীনের নতুন রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, বর্তমানে বাংলাদেশের কর্ণফুলী টানেলসহ বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্পে সহায়তা করছে চীন। আগামী দিনে আরও নতুন মেগা প্রকল্পে অর্থায়ন করা হবে। মঙ্গলবার পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে মন্ত্রীর দপ্তরে সাক্ষাৎ অনুষ্ঠান হয়।
এ সময় রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশের বেশি হওয়াকে বিস্ময়কর বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে সহযোগিতার পাশাপাশি জনগণের জীবনমান উন্নয়নেও কাজ করবে চীন। রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীনের সহায়তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মিয়ানমারের বাস্তচ্যুত ১ দশমিক ২ মিলিয়ন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী নিয়ে বাংলাদেশ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এই সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে ফ্যাসিলিটেটর (সমন্বয়কারী) হিসাবে কাজ করছে চীন। আশা করছি, দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, কর্ণফুলী টানেলসহ বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্পে সহায়তা করছে চীন। আগামী দিনে আরও নতুন মেগা প্রকল্পে অর্থায়ন করা হবে। চীন কোভিড মোকাবিলা করছে। এরপরও বাংলাদেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছে।
আগামী মাসে বাংলাদেশ বিজনেস সামিট অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে চীনের ব্যবসায়ীরা অংশ নেবেন। বাংলাদেশের অভীষ্ট ২০৪১ অর্জন, স্মার্ট বাংলাদেশ এবং সোনার বাংলা গঠনে সব সময় পাশে থাকবে চীন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের আইসিটি খাতে ব্যাপক উন্নয়নের সুযোগ রয়েছে। এ খাতেও সহায়তা দেবে চীন। সেই সঙ্গে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং কৃষিভিত্তিক শিল্পে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা হবে।
চীনের সঙ্গে ফ্রি ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট (এফটিএ) বিষয়ে কোনো অগ্রগতি আছে কি না জানতে চাইলে ওয়েন বলেন, আমরা এই অ্যাগ্রিমেন্ট করতে প্রস্তুত আছি। এখন কিছু প্রক্রিয়াগত কার্যক্রম চলছে। তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পে চীনের অর্থায়ন প্রসঙ্গে বলেন, এ নিয়ে কাজ চলছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।